Header Ads

Header ADS

মোদী যদি শেখ হাসিনার কাছে এসব জানতে চাইতেন



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২৫ এপ্রিল শুক্রবার ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ভারতের  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ করবেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওই অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল না। এমন কথা সেখানকার মিডিয়া থেকে বলা হয়েছিল। পরে মোদী নাকি ওই অনুষ্ঠানে নিজে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মোদী আজকাল হুটহাট যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান। তার কোনো সিডিউল এই মুহূর্তে নেই। সম্প্রতি রাশিয়া সফর এমন ধারণাই দিচ্ছে। 

ভারতের আমলা শাসিত পররাষ্ট্রনীতি যে মাঠে মারা যাচ্ছে এটাই তারই প্রতিফলন। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এখন ভারতের রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। সেই জায়গা দখল করছে দেশটির শক্তিশালী আমলা গোষ্ঠী। সেটি টের পাওয়া গিয়েছিল ২০১৪ সালে শক্তিধর আমলা সুজাতা সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে। বাংলাদেশে বিতর্কিত একটি নির্বাচনে স্বীকৃতি দেয় ভারত। এতে ভারত বিরোধী শক্তি বাংলাদেশে চাঙ্গা হয়েছে। 

বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার এরশাদের মত পতিত স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। সাধারণ নির্বাচনগুলোতে শেখ হাসিনার পক্ষকে জিততে হয় চুরি চামারি করে। অথচ আওয়ামী লীগের এমন অবস্থা কখনই ছিল না। যেটা আজ হচ্ছে। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ আগামী নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা কি হবে তা জানতে।  যদি তা না হতো তবে ভবন উদ্বোধনের মতো সাধারণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কি প্রয়োজন? শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতীতে বহু দেশের সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে ও দেশের নামে ভবন রয়েছে। সেগুলোর কয়টি অনুষ্ঠানে ওসব দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এসেছিল? এই তথ্যটা যদি কেউ দিতেন তবে ভালো হতো। আমার জানা মতে সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনৈতিক ও রাষ্ট্রদূতরাই এসব কাজ করে থাকেন। রাষ্ট্র প্রধানদের ওসব কাজে আনা হয় না।

বলা হয় মোদী হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি করেন। তাই যদি হয় তবে মোদীর জানা উচিত বাংলাদেশে বিগত ১০ বছর শেখ হাসিনা হিন্দুদের একটি দাবিও পূরণ করেনি। উল্টো হিন্দুদের জায়গা জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে। হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। হিন্দু বলে যাদের বিচারপতি ও মন্ত্রী বানানো হয়েছে। তাদেরকে চোর, দুর্নীতিবাজ, কালো বিড়াল প্রমাণ করা হয়েছে। হিন্দুদের দেব দেবীর গহনা চুরি গেলে তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ মসজিদের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার হয়।

 শেখ হাসিনার সরকার সেক্যুলারিজমের আড়ালে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে লালন পালন করছে। আজ স্কুলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল (বিএনপি), শিবির (জামাত) নাই। সবাই কোথায় হারিয়ে গেল? এই প্রশ্নটা যেন মোদী শেখ হাসিনাকে করে। সবাইতো আর দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি। তারা ওই শেখ হাসিনার সংগঠনে যোগদান করেছে। এখন নরেন্দ্র মোদী যদি ভারতীয় কংগ্রেসের পা চাটা গুপ্ত আমলাদের কথায় অন্ধের মত শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয়। তবে সেটা পাকিস্তানি দোসরদের সমর্থন দেয়ারই সামিল হবে।  

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.