Header Ads

Header ADS

সত্যিকারের স্টারগেটের সন্ধান অন্ধ্র প্রদেশের পাহাড়ে!




 হলিউডের বহু সাইন্স ফিকশন সিনেমায় আমরা টাইম মেশিন, স্টারগেটের নাম শুনেছি। দেখেছি সেখানে কীভাবে মানুষ নিমিষেই সৌরজগতের এক গ্রহ থেকে অন্য সৌরজগতের গ্রহে প্রবেশ করে। এতে একধরনের রহস্যময় দরজার কিংবা যন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। যা দিয়ে মানুষ সময় কালকে অতিক্রম করে যায়। আলোর গতির চাইতে বেশি ছিল সেই সব যন্ত্রের গতি। তবে বাস্তবে এমন যন্ত্রের দেখা পায়নি মানুষ। কল্পকাহিনির ওই যন্ত্রকে বলা হতো স্টারগেট।

তবে ভারতে এক অঞ্চলে সত্যিকারের স্টারগেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাচীন এই স্টারগেট রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তীরুমালায়। যা তিরুপতি তীরুমালা মন্দির হিসেবে পরিচিত। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ওই মন্দিরের পাশে প্রাচীন স্টারগেটের সন্ধান পাওয়া যায়। রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে ওই পর্বত পবিত্র তীর্থস্থানের মতো। সব ধর্মের লোক ওই মন্দিরকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে। মন্দিরটি হিন্দুদের ভগবান বিষ্ণুর। স্টারগেট যেখানে পাওয়া গেছে সেটি দেখতে ২৬ ফুট চওড়া ও উচ্চতায় ১০ ফুট। ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, পাথরগুলো যেভাবে যুক্ত হয়ে দরজার আকার নিয়েছে তা পুরো এশিয়া মহাদেশের কোথাও নেই।

লোকজনের বিশ্বাস ভগবান বিষ্ণু এই স্টারগেটের ভিতর দিয়ে পাহাড়ে প্রকট হয়েছেন।  সত্যিই কি এমনটা হয়েছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেখানে এমন একটি গর্তের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যেখানে কোনো কিছু পরিবহণ করা যায়। সেটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবার পথ। এই গর্তই হচ্ছে স্টারগেট।  স্থানীয়রা ও ধর্মীয় পণ্ডিতরা বলেন এটাই বাস্তব। ভগবান বিষ্ণু অন্য গ্রহ থেকে এখানে এই স্টারগেটের মাধ্যমেই এসেছে।

 পাথরের এই আকৃতিকে তারা সিলাথোরানাম বলে উল্লেখ করে। এই দরজায় আগুণ জ্বালিয়ে নিত্য পূজা করে থাকেন তারা। হিন্দু বেদ ও পুরাণ গ্রন্থগুলোতে বলা হয়েছে, ভগবানের এমন শক্তি আছে যা পুরো বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারেন তিনি। এবং সেটি আলোর গতি থেকে বেশি দ্রুত।

স্টারগেটটি এই মুহূর্তে বাইরে থেকে বন্ধ করে রেখেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এর প্রধান কারণ ওই গেট দিয়ে মাঝে মাঝে বের হয়ে আসে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। গত একযুগ ধরে লোকজন এই স্টারগেট নিয়ে নানা অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছে। তাদের বেশিরভাগের অভিযোগ ছিল স্টারগেটের সামনে গেলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়। ক্যামেরা নিলে সেটি অকেজো হয়ে পড়ে। 

একবার এক লোক ওই দরজার সামনে গিয়েছিল তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা দেখেন তার বুকের পেসমেকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে আর্কিলোজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া ওই স্টারগেটের সামনে চারটি দেয়াল নির্মাণ করেন। যাতে লোকজন দেয়াল টপকে দরজার সামনে না আসতে পারে। 

যে কয়জন ঝাড়ুদার ওই দরজা পরিষ্কার করতে যান। তারা মুঠোফোন অন্যত্র রেখে তারপর সেখানে যান। যে রেডিয়েশনের কারণে এমনটা হচ্ছে তার বিষয়ে এখনো বিজ্ঞানীরা কিছু বলতে পারেনি।

 আরেকটি বিষয় হচ্ছে সেখানে পাওয়া এক জোড়া পায়ের চিহৃ। একটি গোলাকার পাথরের ওপর এই পদজোড়া দেখতে পাওয়া যায়। এটি কয়েক হাজার বছর পুরানো। এটি পুরু প্লাস্টিকের বাক্সে ভরা আছে । এই পাথর থেকে এমন একটি শক্তি নির্গত হয় যা বাক্সের ভেতর ধোয়ার সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের সমাধান করতে পারেনি। 

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.