গরুর দুধের বিকল্প হতে পারে তেলাপোকার দুধ!
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে এবার যোগ হলো তেলাপোকার দুধ। গরুর দুধের বিকল্প হিসেবেই তেলাপোকার দুধকে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের এই ভাবনা নতুন নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তেলাপোকা চাষাবাদ। অনেকে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অর্থাৎ ডায়েট কন্ট্রোল করতে তেলাপোকার দুধ পান করছেন নিয়মিত।
ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে তেলাপোকার দুধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের স্টেম সেল বায়োলজি ও রিজেনারেটিভ মেডিসিনের গবেষকরা বলেছেন, তেলাপোকার দুধে উচ্চমানের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে। তেলাপোকা থেকে প্রাপ্ত দুধের পুষ্টিগুণ গরুর দুধের চাইতে বেশি। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের দুধের স্বাদ কেমন সেটাও পরীক্ষা করে দেখেছেন। গরুর দুধের মতোই স্বাদ তেলাপোকার দুধে।
প্রশ্ন হতে পারে তেলাপোকা কীভাবে দুধ দেবে? তার তো আর গরুর মতো দুধের বান নেই। তেলাপোকার বান নেই ঠিক। তবে তেলাপোকার পশ্চাতে (পায়ুতে) এক ধরনের ক্রিস্টাল রয়েছে। এই ক্রিস্টালই হচ্ছে একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। ওই ক্রিস্টালে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন।
অস্ট্রেলিয়ান প্যাসিফিক কোকরোচ নামে একটি কোম্পানি তেলাপোকার দুধ সংগ্রহ করে।তাদের মতে তেলাপোকার দুধে গরুর দুধের মতো সব উপাদান থাকে। অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন, চিনি, চর্বি সবই থাকে তাদের প্রস্তুত করা দুধে। তেলাপোকার বেশিরভাগ প্রজাতি ডিম পাড়ে। তবে এক প্রজাতির তেলাপোকা আছে যারা ডিম পাড়ে না। তারা বাচ্চা প্রসব করে। তেলাপোকার সেই প্রজাতির নাম ডিপলোপটেরা পানকাটা (Diploptera Punctata)। এরা তাদের শিশুদের দুধ পান করায়। সেখান থেকে এই কোম্পানি তেলাপোকার দুধ সংগ্রহ করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কোম্পানি গরমেট গ্রাব (Gourmet Grubb)। তারা এক ধরনের তেলাপোকা চাষ করছে। তারা ওইদুধের নাম দিয়েছে অ্যান্টোমিল্ক (Entomilk)। এই তেলাপোকার দুধে আবার উচ্চমানের মিনারেল আয়রন, জিংক ও ক্যালসিয়াম থাকে। তবে তেলেপোকা থেকে দুধ সংগ্রহ করতে তাদের খুব কষ্ট করতে হয় । ১০০০ তেলেপোকা থেকে মাত্র ১০০ গ্রাম দুধ বের করতে পারেন তারা।
No comments