Header Ads

Header ADS

প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে কংগ্রেসের কি লাভ

    
সুমন দত্ত
প্রিয়াঙ্কাকে অবশেষে রাজনীতিতে নামতেই হলো। কংগ্রেস পার্টির অনেকের ইচ্ছা ছিল প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে নামুক। রাজী ছিল না সোনিয়া গান্ধি।

 প্রিয়াঙ্কার কারণে উত্তর প্রদেশে ভোটের রাজনীতিতে তেমন কিছু পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে হয় না। তবে কংগ্রেস শাসিত অন্য রাজ্যে ঘটনাটা ইতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে যারা প্রিয়াঙ্কার মাঝে ইন্দিরা গান্ধির ছায়া দেখেন।  উত্তর প্রদেশে যারা সফল তারাই সরকার গড়ে।লোকসভার ৮০ টি আসন এই রাজ্যে। ভোট প্রাপ্তিতে এই রাজ্যে প্রধান তিনটি দল। বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি।কংগ্রেস সেখানে চর্তুথ। 

 উত্তর প্রদেশে বহুবার প্রিয়াঙ্কা নির্বাচনী প্রচার করেছে। ভাই রাহুলের হয়ে ও মা সোনিয়া গান্ধির হয়ে খুব প্রচার করেছেন। ভোট টানতে পারেননি। গত লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের নির্বাচনী ক্ষেত্র আমেথিতে প্রিয়াঙ্কা নির্বাচনী প্রচার করেন। কাজের কাজ কিছু হয়নি, উল্টো রাহুলকে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে টেনে হেচরে জিততে হয়। বলতে গেলে হারতে হারতে জিতেছে রাহুল। এবার প্রেক্ষাপট আরো ভয়াবহ। বহুজন সমাজ পার্টি(বিএসপি) ও সমাজবাদী পার্টি (এসপি) বড় দুই পার্টি জোট করেছে। কংগ্রেস জোটের বাইরে। সেখানকার লোকজন এই দুই জোটকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দেবে এমন আশা করে না কেউ। বরং এতে বিজেপির সুবিধা হবে। তারা কিছু আসনে জয়ের মুখ দেখবে। 

রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির কলঙ্ক না থকলেও তার স্বামী রবার্ট ওয়াধেরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। আদালতে মামলা চলছে। ভূমি দখল ও কালো টাকা থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। প্রিয়াঙ্কা যখন মোদি বিরোধী ভাষণ দেবেন তখন প্রতিপক্ষ তার স্বামীর কেলেঙ্কারি গুলো সামনে নিয়ে আসবে। এতে ভোটারদের মনে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে সন্দেহ দানা বাধতে পারে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মনে। তবে যারা বুড়ো ভোটার তারা প্রিয়াঙ্কাকে ইন্দিরা ভেবে ভোট দিতে পারেন। তাতে ফলাফলে কোনো ভূমিকা থাকবে বলে মনে হয় না। 

সদ্য শেষ হওয়া ভারতের তিন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল  কংগ্রেসের দিকে গেছে। প্রিয়াঙ্কাকে নামানোর কারণে এসব রাজ্যে লোকসভা ভোট  কেমন হবে তা দেখার অপেক্ষায় ভারতবাসী। ভারতের জনগণ এখন বংশতন্ত্র রাজনীতিকে তেমন পাত্তা দেয় না। বলিউডে অভিনেতা অভিনেত্রীর ছেলে মেয়েরা যেমন সুপার ফ্লপ। তেমনি দিল্লির রাজনীতিতেও রাজনীতিবিদদের ছেলে মেয়েরা সুপার ফ্লপ হয়েছে। রাহুল গান্ধি এমন নেতা যিনি ভারতীয়দের সঙ্গে মিশেছেন কম। ইউরোপ আমেরিকানদের সঙ্গে বেশি। ভারতের মানুষের মনের টোন বোঝবার ক্ষমতা রাহুলের নেই। এতদিন রাজনীতি করেও রাহুল গান্ধী কোনো ভালো উদাহরণ তৈরি করতে পারেননি। 

অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বহু রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন। তবে বিতর্কিত হয়েছেন বহু কাজ করে। যার মধ্যে নোটবন্দি একটি। এ কাজের সফলতা বিজেপি ঘরে তুলতে পারেনি।     

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.