Thursday, January 31, 2019

পুন নির্বাচন হাস্যকরই


সুমন দত্ত
পুন নির্বাচন হাস্যকর। দেশের আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগসহ ছোট বড় সকল পেশাজীবী সংগঠনের প্রধান হয়ে যারা রাজত্ব করছেন তাদের কাছে বিএনপি কিংবা ঐক্য ফ্রন্টের সবই হাস্যকর বলে মনে হবে। 

এমন ক্ষমতাধর শাসক গোষ্ঠীকে যদি বলা হয় আবার নির্বাচন করুন তবে সেটা হাস্যকরই।

দেশের সাধারণ জনগণ এটা বোঝে, কিন্তু মেরুদণ্ডহীন, ভীতুরাম, কাপুরুষ বিএনপি নেতারা এসব বোঝে না। 

শাসক বিরোধী একটা বয়ান দিয়েই বিএনপি নেতারা খালাস। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির আন্দোলন করার কোনো কর্মসূচি নেই।  

এমন একটি অথর্ব দল যতদিন থাকবে ততদিন একটি অগণতান্ত্রিক শক্তি জনগণের ঘাড়ে চেপে থাকবে। কেউ তাকে নামাতে পারবে না। 

 উকিলরা মক্কেলদের জমি কেনার পর  বলেন, জমির মালিক যেন দখল বুঝে নেন। জমির তত্ত্বাবধান করেন। 
জমির চারদিকে দেয়াল তুলে তা রক্ষা করেন। তা না হলে নিজের কেনা জমি অন্যের দখলে চলে যাবে। তখন তাকে সহজে উচ্ছেদ করা যাবে না। মামলা মোকদ্দমার ঝামেলায় পড়তে হবে। বিএনপির অবস্থা হয়েছে এমন। এই পার্টির মালিকরা থাকেন বিদেশে। আরেকজন জেলখানায়। বিদেশে বসে নেতৃত্ব ফলানো যায় না।

 ভুয়া নির্বাচনের স্বীকৃতি দিতে আজ গণফোরামের দুই নেতা তাদের দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।  আগামীতে তাদের সংসদে যোগদান ঠেকাতে পারবে না বিএনপি কিংবা গণফোরাম। আ.লীগের পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই এই দুই নেতা ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচিত হয়েছে।

আ.লীগ এখন এতটাই শক্তিশালী সে দেশের যেকোনো জায়গায় নিজের খেলা খেলতে পারে। আদালত কিংবা সংসদ সব জায়গার মালিক এখন আ.লীগ।

 একটু খেয়াল করে দেখবেন এখন দৈনিক পত্রিকাগুলো কিছু ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির খবর ফলাও করে প্রচার করছে। কিছুদিন আগেও সেটা ছিল না। অন্তত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে। ভুয়া সরকারের ইশারায় দৈনিক পত্রিকা গুলো নিজেদের স্বাধীন ভাবমূর্তি প্রমাণে এসব নিউজ দিচ্ছে। অথচ এসব তথ্য তাদের বহু আগেই জানা ছিল। 

ভুয়া সরকারের ভুয়া মন্ত্রীরা বলেন, আজ বিভিন্ন দেশ এই সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। অভিনন্দন দেয়াকে যদি স্বীকৃতি বোঝানো হয় তবে বলতে হবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার পর যেসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা খন্দকার মোস্তাক সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল তারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

ভুয়া নির্বাচনের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে আ. লীগের নেতারা খেই হারিয়ে ফেলছে। 

শেখ হাসিনা কি কারণে চা-বিস্কুট চক্রের প্রস্তাব করেন বুঝি না। দেশ চালাবেন চা চক্রের দরকার কি? দেশের ১০০ পারসেন্ট ভোট পাওয়া সরকারের কোনো চক্রে ঢোকার প্রয়োজন নেই। পায়ের ওপর পা তুলে দেশ চালাবেন। যা খুশি তা করবেন। পারলে দেশের নাম বদলে মুজিব দেশ রাখবেন। যেমন আগামীতে মুজিব বর্ষ আসছে দেশের ক্যালেন্ডারে। শেখ হাসিনাকে ঠেকায় কে ?   

No comments:

Post a Comment