Header Ads

Header ADS

খালেদার চিকিৎসায় সরকারের ভয় , হাসিনার চিকিৎসক মোদাচ্ছের কোথায়



খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে চলছে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ। খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগে চলছে অজানা আতঙ্ক। আওয়ামী লীগ এখন এতটাই দুর্বল রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে যে দলটিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে হচ্ছে। যেখানে যুদ্ধাপরাধী মামলায় বন্দীরা পাচ্ছেন নিজেদের পছন্দমত চিকিৎসা, সেখানে খালেদা জিয়া নিজের পছন্দ ব্যক্ত করতে পারছেন না। খালেদা জিয়া কি রাজাকারদের চেয়েও ঘৃণিত?  শাসক আওয়ামী লীগ সরকার কর্মকাণ্ড দিয়ে সেটাই প্রমাণ করছে।

 একজন রোগী যেই চিকিৎসকের প্রতি আস্থাবান থাকে তাকে সেই চিকিৎসকের হাতেই দেয়া হয়। তার পরামর্শই রোগী শোনেন। আস্থা ভরসা যেই চিকিৎসকের ওপর, তার কাছেই তিনি যান। যেমন গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ও অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর পরামর্শ মত বিদেশে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন। তখন শেখ হাসিনার এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। রথ দেখা কলা বেচার মত কাজ করে এসেছিলেন তিনি। চিকিৎসার নামে বিদেশে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন। আর ক্ষমতায় এসে সেই চিকিৎসকদের করেছিলেন পুরস্কৃত। মোদাচ্ছির হয়েছিল শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। হাজার কোটি টাকার হলমার্ক কেলেঙ্কারীতে তার নাম এলে তিনি এখন নাই।  

 দলের প্রবীণ অনেক সদস্য হাসিনা-মোদাচ্ছের চিকিৎসা কাহিনী জানতেন। তাই তো তোফায়েল আহমেদের মত নেতারা বলেন খালেদা জিয়া চিকিৎসার নামে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন। তিনি নিজের পছন্দমত চিকিৎসক দিয়ে বিদেশ যাবার সুযোগ খুঁজছেন। তার এই ধারণা ভুল বলার অবকাশ নেই। নিজের নেত্রীকে দিয়ে তার উপলব্ধিটা এমনই। আর সেটাই খালেদা জিয়ার নামে গণমাধ্যমে চালিয়ে দিয়েছেন। 

মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাজ করতে গিয়ে জানি, গোলাম আযম ও দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নিজেদের পছন্দমত কর্মকাণ্ড করার সুযোগ পেয়েছিলেন জেল কোডের বাইরে গিয়েও। গোলাম আযম চেয়েছিলেন জেলে থেকে বাড়ির খাবার। আর সাঈদী চেয়েছিলেন বারডেমে চিকিৎসা করানোর অধিকার। এ নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তাদের দুজনকেই সেই সুযোগ দিয়েছিলেন। তখন জেল কোডের অজুহাত দেখিয়ে  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছিল কারাগারে বাড়ি থেকে খাবার দেয়ার কোনো বিধান নাই। পাল্টা যুক্তি হিসেবে জামাতের আইনজীবীরা বলেন জেল কোডে বাড়ির খাবার না দেবার বিষয়েও কোনো বিধান নাই। অর্থাৎ এ সংক্রান্ত কোনো বিধান না থাকায় আদালত আদেশ দিলে সেটা আইন ভঙ্গ হবে না। এ যুক্তির ওপর ভিত্তি করে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল গোলাম আযমকে বাড়ির খাবার সরবরাহ করার অনুমতি দেন। তবে শর্ত জুড়ে দেন সেটা তাদের নিজ দায়িত্বে দিতে হবে। এই খাবারের কারণে বন্দীর কিছু হলে দায় পরিবারের থাকবে। পরবর্তীতে এই সুযোগ  সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্যরা পায়।

সাঈদীর চিকিৎসা নিয়ে আদালত জানায় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য জায়গায় সরকারি চিকিৎসা করানোর সুযোগ নেই। এখন সাঈদী সাহেব যদি অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাতে চান তবে তাকে নিজ খরচে নিজ দায়িত্বে তা করতে হবে। এজন্য কিছু হলে দায়ী থাকবেন সাঈদী সাহেব। সাঈদী বারডেমে চিকিৎসা করান। যেহেতু তার ভরসা বারডেমে। 

 জেল কোডে কি আছে বন্দীর সঙ্গে কাজের লোক থাকবে? সেই সুযোগতো খালেদা জিয়া পাচ্ছে। তাই জেল কোড বাধা হতে পারে না। 


সকলে জানে খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বাংলাদেশে থাকলে যেতেন ইউনাইটেড হাসপাতালে। আর বিদেশ গেলে সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ হাসপাতালে। এখন যদি তিনি তা করতে চান তবে দোষের কি? বিদেশ গিয়ে যদি রাজনীতি করেন তাতেই বা কি আসে যায়? 

আওয়ামী লীগ যদি নিশ্চিত থাকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। বিদেশি শক্তি খালেদাকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পারবে না। তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এত বাধা কিসের? দেন না তাকে যা খুশি তা করতে। আওয়ামী লীগের তো অনেক শক্তি। বিদেশিরা আওয়ামী লীগকে আস্থা ভরসা করে। তাহলে কি ধরে নেব সম্প্রতি আপনাদের সেই আস্থা ভরসা টলে গেছে।              

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.