যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কংগ্রেসের মতো মাথা নোয়াবে কি বিজেপি সরকার?
ইরান থেকে তেল আমদানি করতে ভারতকে নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
একই আর্জি তারা জানিয়েছে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। মার্কিন এই আবেদন সবাই শোনে কিনা
তা দেখার অপেক্ষায় আছে বিশ্ব। ভারত ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে তারা জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা
কে শুধু মান্যতা দেবে। কোনো একক রাষ্ট্রের অনুরোধ শুনবে না ভারত।
প্রসঙ্গত ইরাক যুদ্ধে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনে দেশটি থেকে তেল আমদানি
বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস সরকার। এখন দেখার অপেক্ষা কংগ্রেসের মত
বিজেপি কিনা। মানে বিজেপি কংগ্রেসের মত মাথা নোয়ানো পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে কিনা।
যে ভারত স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে গর্ব করে তাদের সেই দম্ভ
কতটুকু সত্য তা প্রমাণ হবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই ইরানের তেল
আমদানি সংক্রান্ত আবদার নিয়ে ভারতে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই দুই জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ভারত কীভাবে
জবাব দেয় তার দেখার অপেক্ষায় আছে দেশটির সাংবাদিকরা। ইরানের পরমাণু সমঝোতা কর্মসূচি
থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির সঙ্গে বিবাদ চলছে মার্কিন শাসক গোষ্ঠীর। ইরানকে
কোণঠাসা করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। সেটা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের
বিরুদ্ধে কাজ করছে ইরানের অর্থনীতি। সেটা সিরিয়া হোক কিংবা ইয়েমেন।
সব খানেই যুক্তরাষ্ট্র শত্রু হিসেবে পাচ্ছে ইরানকে। তাই ইরান
ঠেকাও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই কর্মসূচি কতটা সফল হবে। তা তেল
নিষেধাজ্ঞার ওপরই অনেকটা নির্ভর করছে।
No comments