Header Ads

Header ADS

কোটা আন্দোলনে বিএনপি জামাত সমর্থন দিলে তাতে কার কি আসে যায়


আন্দোলনের মাধ্যমে জন্ম বাংলাদেশের। এদেশে বহু দাবী পূরণ হয়েছে আন্দোলনের মাধ্যমে। বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেটিও আন্দোলনের মাধ্যমে এসেছে। নির্বাচনের বছরে আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পায়। তবে সেটি রাজনৈতিক দল করলে। বাংলাদেশে অঘোষিত বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে বিএনপি। তাদের কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন এই মুহূর্ত নেই। 

এখন আন্দোলন করছে শিক্ষক সমাজ ও সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী ছাত্ররা। সবগুলো আন্দোলনই চলছে জাতির জনক শেখ মুজিব ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে। তবে সরকারের মধ্যে এই দুই আন্দোলনে রয়েছে ভিন্ন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি।  আর সেটি তৈরি হয়েছে লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার একটি অডিও প্রকাশের মাধ্যমে। যেটি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের জন্য সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ আরেকটি গ্রুপকে রাজাকার বলে গালি দিচ্ছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনকে জামায়াত শিবিরের আন্দোলন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।

 সরকারের দালালি করা বুদ্ধিজীবী ওরফে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সাংবাদিকরাও নিজেদের পেটের ধান্দায় কোটা বিরোধী আন্দোলনকে শিবিরের আন্দোলন বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বিএনপি-জামাত কোনো আন্দোলনকে সমর্থন করলেই সেটা সরকারি বিরোধী আন্দোলন ভাবা উচিত নয়। কোটার বিপক্ষেই অনেকেই। তারা কি সবাই জামাত? তারা কি সবাই বিএনপি? তা যদি না হয় তবে কেন সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে? 

কোটা সংস্কার একটি ন্যয়সংগত দাবি। এর পিছনে জামাত-বিএনপি সমর্থন দিক কিংবা না দিক। কোটা সংস্কার করা জরুরি। বহু বেকারের দেশে মেধার মূল্যায়ন হওয়া জরুরী। আজ যারা কোটার পক্ষে কথা বলছেন, তারা কি কোটায় হওয়া চিকিৎসকের কাছে যাবেন? নাকি সবচেয়ে ভালো চিকিৎসক যিনি তার কাছে যাবেন? তাই যোগ্যতাই সবকিছুর মাপকাঠি। ভারতে কোটা সংস্কার হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যেখানে মেধার তেমন প্রয়োজন পড়ে না, সেই সব চাকরিতে কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সের বাধা তুলে দেয়া উচিত। ৮৫ বছরের বৃদ্ধরা যদি সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারে তবে কেন চাকরি আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর চাওয়া হয়। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। 

কোটা থাকা উচিত উপজাতি, প্রতিবন্ধি, অটিস্টিক, সমলিঙ্গ এদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধার নামে কোনো কোটা থাকা উচিত নয়। কারণ প্রতি বছরই নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধা গজায়। যারা দেশের জন্য সত্যিকার কিছু করেছেন। তারা সরকার কি দেবে তার জন্য বসে থাকে না। 

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.