কেরালার মন্দিরে নামাযতো হলো, মসজিদে পূজা কবে?
ভারতের কেরালা রাজ্যে অতি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় বহু ঘর বাড়ি প্রতিষ্ঠান ধসে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। এরই মধ্যে সেখানে শুরু হয়েছে কোরবানির ঈদ। আর ঈদে মসজিদে পানি ঢুকে যাওয়ায় মুসলমানরা নামাজ পড়েছে হিন্দু মন্দিরে। আর এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে শুরু হয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার গান বাজনা। এ যেন নতুন কোনো ঘটনা।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় সাম্প্রদায়িক হানাহানি ঠেকাতে গান্ধীজী হিন্দু মন্দিরে কোরান পাঠ করান। তাতে দাঙ্গা থামেনি। দেশ ভাগ রোধ হয়নি। আর সেটা হবে কি করে? এক পক্ষ অসাম্প্রদায়িকতা দেখাতে গিয়ে নিজেদের উজাড় করে দিল, আরেক পক্ষ তার প্রতিক্রিয়ায় কিছুই করল না। কথায় আছে এক হাতে তালি বাজে না। বরাবরের মত সাম্প্রদায়িক হয়ে রইলো একটি পক্ষ। মন্দিরে কোরান পাঠের বিপরীতে মসজিদে হলো না গীতা পাঠ। ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান।
২০ শতকে সেই একই দৃশ্য মন্দিরে ঈদের নামাজ কিন্তু মসজিদে পূজার দৃশ্য কোথাও দেখা যায়নি। তাই অসাম্প্রদায়িকতা দেখানোর ইজারা মনে হয় হিন্দুরাই নিয়েছে। মুসলমানরা তাদের ধর্ম ঠিক রেখেই সবকিছু করবে। এই কেরালার হিন্দুরা কয়েক মাস আগে অসাম্প্রদায়িকতা দেখাতে গিয়ে গরুর মাংস ভক্ষণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় কোনো মুসলমান তো শুয়োরের মাংস ভক্ষণ করে অসাম্প্রদায়িকতা দেখায়নি। কেরালায় চলে কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের শাসন। দুটোই কট্টর সেকুলার। বিজেপির নামগন্ধ সেখানে নেই। তারপরও কংগ্রেসের কিংবা কমিউনিস্ট মুসলিম নেতা মদ খেয়ে কিংবা শুয়োর খেয়ে নিজেদের ধর্মীয় সহনশীলতার পরীক্ষা দেয়নি। আবার বলা হয় কমিউনিস্টরা নাকি কোনো ধর্ম মানে না। তারা নাকি নাস্তিক।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট শাসনের মধ্যেই কেরালায় জন্ম নেয় ইসলামিক স্টেটের মত ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠী। বিদেশে ভারতের যেসব আইএস জঙ্গি ধরা পড়েছে তার সিংহভাগ এই কেরালা রাজ্যের। এখন প্রশ্ন চ্যাম্পিয়ন সেকুলার রাজ্যে জঙ্গি আইএস গোষ্ঠী জন্ম নেয় কীভাবে? এখানে তো তথাকথিত মৌলবাদী বিজেপির নাম নিশানা নেই।
বন্যার আগে কেরালা রাজ্যে চাঞ্চল্যকর খবর ছিল হাদিয়া নামের এক নারীর। হিন্দু পরিবারের সন্তান ছিল সে। পেশায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। মেয়েটি মুসলিম ছেলের সঙ্গে লুকিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। ভারতের চ্যাম্পিয়ন সেকুলার মিডিয়া এই বিয়ের পক্ষে কতই না যুক্তি দেখালো। হাদিয়ার বাপ বলল তার মেয়েকে আইএস জঙ্গিরা ব্রেন ওয়াশ করে নিয়ে গেছে। এটা বিশ্বাস করল সেখানকার পুলিশ। পরে জানা গেল এসব কিছু না। কতটা জঙ্গি আতঙ্ক কেরালায় চলছে সেটা এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়। কেরালা মুসলমানরা জিহাদি জোশে কাশ্মীরে গিয়ে বোমা ফুটিয়ে আসে। এই ঘটনারও প্রমাণ পেয়েছে ভারতের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
কেরালার কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী দেশের শহীদদের সম্মান করতে জানে না। বিশ্বব্যাপী আলোচিত মুম্বাই হামলার এক শহীদ যিনি ছিলেন কেরালা রাজ্যের বাসিন্দা। ভারতীয় ওই সেনার মৃত্যুতে তিনি বলেন, এই ছেলে জঙ্গির হাতে না মরলে তার বাড়িতে কুত্তাও যেত না। এসব বলে তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন। এই হচ্ছে কেরালার কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী। এদের রাজ্যে হিন্দুরা গরু খেয়ে ও মন্দিরে নামাজ পড়িয়ে অসাম্প্রদায়িকতা ঝাণ্ডা গাড়বে। অন্যদের ঠেকা পড়ে নাই এসব দেখানোর।
No comments