Header Ads

Header ADS

ডায়াবেটিস কখন মাপবেন


ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সব সময় চিন্তা করেন। তার ডায়াবেটিস ফল করে  গেল কিনা। মানে ডায়াবেটিসের পয়েন্ট কমে গেল কিনা। কারণ ডায়াবেটিস ফল করলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ডায়াবেটিসের পয়েন্ট কত সেটা পরিমাপ করার কিছু সময় আছে। সেই সময়ে ডায়াবেটিসের পয়েন্ট কত সেটা জানা জরুরী। রক্ত ঠাণ্ডা থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিস মাপতে হয়। ডায়াবেটিস মাপার সবচেয়ে ভালো যন্ত্র কেয়ার সিন কোম্পানির স্কেল। কোরিয়ার তৈরি এই যন্ত্র দিয়ে খুব সহজেই ডায়াবেটিসের পয়েন্ট মাপা যায়। বাজারে আরো কতগুলো যন্ত্র পাওয়া যায়। সেগুলোর হিসাব আবার ভিন্ন। তাই কেয়ার সিনের একটি যন্ত্র কিনে তাতে স্ট্রিপ লাগিয়ে ডায়াবেটিসের পয়েন্ট জেনে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার মাপুন। আবার দুপুরে খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর কিংবা দুপুরে খেয়ে একটা ঘুম দিয়ে তারপর ডায়াবেটিস মাপুন। ডায়াবেটিসের সঠিক হিসাবটা তখনই মিলবে।

 কখনই শারীরিক ব্যায়াম করার পর কিংবা কায়িক পরিশ্রম করার পর ডায়াবেটিস মাপবেন না। অনেকে হেটে গিয়ে পার্কে ডায়াবেটিস মাপেন। এটা ঠিক নয়। কারণ পার্কে হেটে যাবার সময় শরীরের রক্ত গরম হয়ে যায়। এই অবস্থায় ডায়াবেটিসের সঠিক হিসাব আপনি কখনই পাবেন না। তাই ডায়াবেটিসের সঠিক হিসাব পেতে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অথবা সকালের ব্রেকফাস্ট করার দুই ঘণ্টা পর ডায়াবেটিস মাপুন। 

ডায়াবেটিসের পরিমাপ খালি পেটে ৫ থেকে ৮ এর মধ্যে রাখবেন। ভরাপেটে ৭ থেকে ৯ এর মধ্যে রাখবেন। ডায়াবেটিস বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খাবেন। 

৪ অথবা ৩ হলে মনে করবেন যেকোনো সময় আপনি পড়ে যেতে পারেন। যদি ৪ অথবা ৩ পান তবে সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে নিন। তাছাড়া ২ ঘণ্টা পর পর কিছু খেয়ে নিন। টানা ৩-৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে আপনার ডায়াবেটিস পড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা কিছুক্ষণ পর পর, মানে ১ ঘণ্টা পর পর কিছু খাবেন। মানে অল্প খাবেন। 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা ডায়াবেটিসের সঙ্গে বিপি অথবা প্রেশারটা মেপে জেনে নিবেন।  এরপর যে কথাটা জরুরী সেটা হচ্ছে চিকিৎসককে নিজের শরীরের আপডেট তথ্যটা দিবেন। কারণ বয়সের সঙ্গে রোগীর ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ধরনও পাল্টে যায়। ডায়াবেটিসের সব ওষুধ সবার জন্য নয়। 

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.