এসব জেনে কি আপনি বিজ্ঞানবাদী?
এই পৃথিবীতে মানুষ কীভাবে এসেছে। বিজ্ঞান ঘেঁটে এই প্রশ্নের উত্তর জানা যায় না। তাই যারা বিজ্ঞানবাদী তারা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ। বিজ্ঞান যেখানে থেমে যায় সেখানে রাজত্ব ধর্মবাদীদের। কারণ ধর্মগ্রন্থগুলো এই প্রশ্নের উত্তর সহজ সরল ভাষায় দিয়ে দেয়। যে কারণে পৃথিবীতে ধর্ম বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা বেশি।
মানুষের অস্তিত্ব প্রমাণে অনেকে চার্লস ডারউনের অনুমান নির্ভর তত্ত্ব বিবর্তনবাদ সামনে নিয়ে আসেন। যেটা আদৌ কোনো বিজ্ঞান নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই তত্ত্ব বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে ঢোকানো হয়েছে। তবে ডারউনের জীবন সংগ্রাম তত্ত্ব ও অভিযোজন তত্ত্বগুলোকে বিজ্ঞানে স্থান দেয়া যেতে পারে। কারণ এর পিছনে যুক্তি আছে ও প্রমাণ আছে।
অনেকে বিজ্ঞান সমর্থন করতে গিয়ে বিজ্ঞানের ব্যবহারিক দিকটি টেনে আনেন। বলে থাকেন বিজ্ঞান যা বলে তা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে। কথাটা আদৌ ঠিক নয়। পানির একটি অণুতে হাইড্রোজেনের ২ পরমাণু ও অক্সিজেনের ১ পরমাণু থাকে। এটা তত্ত্বীয়ভাবে জানা গেলেও বিজ্ঞানীদের যদি হাউড্রোজেন ও অক্সিজেন এনে দেয়া হয় তবে কি তারা পানি তৈরি করতে পারবে? উত্তর না। তাই তত্ত্বীয়ভাবে বিজ্ঞানের অনেক কিছু জানা গেলেও ব্যবহারিক ভাবে তাকে প্রমাণ করা যায় না। এটাই সত্যি।
অনেক মৌলিক পদার্থের বহুরুপতা আছে। তবে সব মৌলিক পদার্থের বহুরূপতা নেই কেন? এই রহস্য কি বিজ্ঞান উন্মোচন করতে পেরেছে?
বিজ্ঞানের বহু তত্ত্ব শত শত বছর পর ভুল প্রমাণিত হয়। এমন ইতিহাস বিজ্ঞানে আছে। যেমন জীবাণু আপনা আপনি অর্থাৎ স্ফতর্স্ফুত ভাবে সৃষ্টি হয়। কিন্তু যখন জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর তখন এই তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়। আসলে জীবাণু থেকে জীবাণুর সৃষ্টি হয়। এটা প্রমাণ করলেন তিনি ওই টিকা আবিষ্কার করতে গিয়ে। তাই বিজ্ঞানের তত্ত্ব নিয়ে বেশি বড়াই করা উচিত নয়।
বর্তমান বিশ্বের বড় এক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এল নিনো ও লা নিনো কিছুদিন আগে ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে কাজ করেন বহু বিজ্ঞানী। তারা বলেছিলেন এল নিনো ও লা নিনোর প্রভাবে ২০২০ সালের মধ্যে হিমালয়ের বরফ শুকিয়ে যাবে। পৃথিবীতে দেখা দেবে মিষ্টি পানির সংকট। মালদ্বীপের মত দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বঙ্গপোসাগরসহ বির্স্তিণ উপকূলীয় এলাকা সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে। বাস্তবে এখন তারা কি দেখেন? এর কিছুই এখন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এসব কথা বার্তা তারা এখন বলছেন না। তাদের এই নীরবতার কারণে সরব হয়ে উঠলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই তত্ত্বকে গপ্পো বলে উড়িয়ে দিলেন।
বর্তমান বিশ্বে লোক ঠকানো অনেক কঠিন হয়ে গেছে। তাই বিজ্ঞান কিংবা ধর্ম এসব নিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর দিন শেষ। প্রকৃত সত্য মানুষ নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনে যায়। তাই যারা বিজ্ঞানবাদী তারা এসব জেনে বিজ্ঞানবাদী হোন। অন্যদিকে যারা ধর্মবাদী তারা এসব জেনে বিজ্ঞানবাদীদের সমালোচনা করুন।
No comments