Header Ads

Header ADS

গ্রেনেড হামলার ফল ভোগ করছে বিএনপি-জামাত


বাংলাদেশের রাজনীতির একটি নিষ্ঠুরতা দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।  বিরোধীদলকে দমন করার মিশন নিয়ে এই হামলা চালায় তৎকালীন বিএনপি-জামাত শাসক গোষ্ঠী। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি উচ্ছেদের। 

সেদিন পত্রিকার পাতায় আইভি রহমানের পা উড়ে যাবার দৃশ্য ছিল হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক। ঘটনায় নিহত হয় ২৬ জন। আহত হয় শতাধিক। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেরা মানববর্ম তৈরি করে সেদিন শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল। তা না হলে সেদিনই ছিল শেখ হাসিনার অন্তিম দিন। তদন্তে হামলাকারীরা বলেছে কেন সেদিন তারা ব্যর্থ হয়েছিল। নারকীয় এই হামলার তদন্ত ধামাচাপার মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামাতের সংশ্লিষ্টতা আজ সামনে চলে এসেছে। বিএনপি-জামাতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলের অবিস্ফোরিত গ্রেনেড নষ্ট করতে দেখা গেছে সেদিন। 

এসব জিনিস আলামত হিসেবে রাখতে পারতো তারা। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এই গ্রেনেড গুলোর জন্ম ইতিহাস বের করতে পারতো। কিন্তু তৎকালীন সরকার তা করেনি। এতেই বোঝা যায় একটি উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য এসব করা হয়েছিল। সেদিন যদি সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতো তাহলে আজ বিএনপি-জামাতের রাজনীতি থাকতো মুক্ত ও স্বাধীন। তারেক জিয়াকে বিদেশে ও খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হতো না। জামাতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি যে রাজনীতি শুরু করেছিল তার ফল বিএনপি এখন হাড়ে হাড়ে পাচ্ছে।  বিএনপি আজ এত দুর্বল এর কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যায়। দোষীদের রক্ষা করতে বিএনপি-জামাত জর্জ মিয়া নাটক সাজায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে। 

 অন্যদিকে ২১ আগস্ট ঘটনা শেখ হাসিনাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। রাজাকারদের বিচার ও তাদের দোসরদের ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো এসবই হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে। এই ঘটনা না ঘটলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনোদিন রাজাকারের বিচার হতো না। তারা দাপিয়ে বেড়াত মুক্তিযোদ্ধাদের লাশের ওপর। 

২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলছে। বিচার শুরুর ১৪ বছর কেটে গেছে। তারপরও এই বিচার শেষ হয়নি। রাষ্ট্রের এই ব্যর্থতা অবশ্যই বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে নিতে হবে। তারা ক্ষমতায় রয়েছে ১০ বছর হতে চলল। তারপরও এই বিচারের রায় হলো না। এটা হতাশাজনক। 

আসামি পক্ষ সময় চাইবে, দেরি করতে চাইবে, তাই বলে বিচারকরা বার বার সময় দিয়ে যাবেন এমন কোনো বাধ্যবাধকতা  আইনে নেই। ইচ্ছা থাকলে এই মামলা শেষ করা যেত বহু আগেই। আইনমন্ত্রীর উচিত এজন্য তার পদত্যাগ করা। এরকম একটা হাইপ্রোফাইল মামলা তারা ১০ বছরেও শেষ করতে পারলো না। এটা লজ্জার বিষয়। আশাকরি এই বিচারের রায় দ্রুত হবে।    
    

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.