Header Ads

Header ADS

বিপ্লব দেবের হাঁসতত্ত্ব ঠিক আছে, বেকুবরা বুঝেনি

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রতি বাম ঘরানার ও কংগ্রেসিদের রয়েছে অন্যরকম এক অ্যালার্জি। হবেই তো। যেভাবে বাম দুর্গ বলে খ্যাত সিপিএমকে ধসিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন সেটা রীতিমত বজ্রপাত। সেখানকার বামদের অহংকার তিনি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। 

এর ফলে সেখানকার বাম ঘরানার যেসব সাংবাদিক আগেকার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কাছ থেকে মাসোহারা পেতেন তারা এখন বিপ্লব দেবের ওপর চটে আছে। এজন্য তারা বিপ্লব দেবের কথা বিকৃত করে তা খবরের শিরোনাম করছে। কথায় আছে না অন্যের জন্য কুয়ো খুদলে নিজেরাই সেই কুয়োয় পড়ে। এবার সেই ঘটনাই ঘটেছে। 

বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে এখন সেই সব সাংবাদিকরা নিজেদের মূর্খতার পরিচয় দিল। আর তাতে সায় দিতে গিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেসের সমর্থকরা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফালাফি করল। তাদের এই লাফালাফিতে অনেকেই সামিল হয়েছে। আর সেটা দেখে আরো মজা লেগেছে। তারপরও লাফালাফি থামছে না। থামবেই বা কীভাবে। সারাদিন ফেসবুকে যারা হুমরি খেয়ে পড়ে থাকে। তাদের বই পড়ার সময় কই। 

মূল কথায় ফিরি। বিপ্লব দেব বলেছেন, পুকুরে হাঁস সাতার কাটলে অক্সিজেন বাড়ে। আর এই কথা শুনে বেকুব সাংবাদিক বুঝল হাস পুকুরে অক্সিজেন ছাড়ে। আর এ নিয়ে এক দল গাধা হাঁসের পাছায় পাইপ লাগিয়ে বিপ্লব দেবের মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিল। আর সেটা দেখে শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাকের মত সব গাধা এক সুরে গান গাইতে থাকলো। কেউ বুঝতেই চাইলো না বিপ্লব দেব কি বলতে চেয়েছেন? তার কথার অর্থ কি?

যারা বিজ্ঞানের ছাত্র বিশেষ করে যারা মৎস্য বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে লেখা পড়া করেছেন, তারা এ বিষয়টা ভালো করে জানেন । বদ্ধ পুকুরের পানিতে অক্সিজেন থাকে না। বদ্ধ পুকুর বলতে সেই পুকুরকে বোঝানো হয় যে পুকুরের পানি স্থির থাকে। আলো বাতাস প্রবেশ করে না। 

আমরা সকলেই জানি বাতাসে অক্সিজেন থাকে। আর এই অক্সিজেন থাকে বলেই আমরা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাস টেনে নেই। এখন পুকুরের তো মানুষের মত নাক মুখ নেই। সে কীভাবে বাতাস থেকে অক্সিজেন নেবে? 

পুকুর কিংবা জলাশয় বাতাস থেকে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন টেনে নেয়। আর সেটা করে পানির মুভমেন্ট অর্থাৎ পানির নড়া চড়া। হাস যখন সাতার কাটে তখন পানির উপরিতলে নড়াচড়া হয়। এই নড়াচড়ার ফলে বাতাসের সঙ্গে পানির ঘর্ষণ হয়। এই ঘর্ষণে বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা হয়ে পানিতে দ্রবীভূত হয়। এতে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই তত্ত্বটাই বিপ্লব দেব বোঝাতে চেয়েছেন কিন্তু বেকুবের দল বুঝছে আরেকটি। যা অন্ধের হাতি দেখার মত। 

শুধু হাস কেন, লঞ্চ-স্টিমার- নৌকা চলাচল,  পানিতে মাঝির বৈঠার আঘাত, ছেলে মেয়ে সাতার কাটা সবকিছুতেই পানিতে অক্সিজেন বাড়ে। এখন কি বেকুবের দল লঞ্চ-স্টিমার-নৌকার পাছায় পাইপ লাগিয়ে বিপ্লব দেবের মুখে লাগাবেন? 

লেখক সাংবাদিক
তারিখ : ৩১-৮-২০১৮
        

1 comment:

  1. Solubility of oxygen increases due to movement of water.sumon datta's explanation is not right.

    ReplyDelete

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.