চুম্বকের উত্তর-দক্ষিণ তত্ত্ব প্রমাণ করতে কল্পনার আশ্রয়
ধর্মবাদীরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণে কল্পনার আশ্রয় নেয়। কল্পনায় ঈশ্বর একেক জনের কাছে একেক রকম। আর তা নিয়ে বলদের হাসি হাসে তথাকথিত বিজ্ঞানবাদীরা। এসব বেআক্কেল গুলো জানেই না বিজ্ঞানও তত্ত্ব মিলাতে কল্পনার আশ্রয় নেয়।
কল্পনার আশ্রয় না নিলে তত্ত্ব মিলানো যায় না। উদাহরণ হিসেবে ধরুন চুম্বকের উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকার ব্যাখ্যা।
চুম্বকের একটি লম্বা টুকরা সুতা দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে ধরলে সেটি উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে। বিজ্ঞানীরা এর যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা নিয়ে বিজ্ঞানবাদীরা কখনই হাসাহাসি করে না।
চুম্বক উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে এর কারণ পৃথিবীর ভূতলে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বৃহৎ একটি চুম্বক রয়েছে। সেটি কানাডা থেকে অ্যান্টার্কটিকা পর্যন্ত কৌণিক অবস্থান করে রয়েছে। যে কারণে চুম্বক পৃথিবী পৃষ্ঠে উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে। বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্ব মিলাতে কানাডা ও অ্যান্টার্কটিকাতে বহু গভীরে খোঁড়াখুঁড়ি করেন। কিন্তু তারা ওই বৃহৎ আকারের ভূতলে থাকা চুম্বকের সন্ধান পাননি। পৃথিবীর ভেতর কখনই তারা চুম্বক খুঁজে পাননি। অবশেষে কল্পনার মাধ্যমে একটি চৌম্বক আছে এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে এই তত্ত্বের সমাধান করেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশে চুম্বক সুতায় ধরলে তা উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকলেও কানাডাতে সেটি হবে না। কিংবা অ্যান্টার্কটিকাতে। ওই দুই দেশে চুম্বক খাড়া হয়ে থাকবে।
No comments