স্বৈরাচাররা পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়
নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনকে সরকার যৌক্তিক বলে স্বীকার করলেও একে সরকার পতন আন্দোলন হিসেবে মেনে নিচ্ছে তারা। পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থী গ্রেফতার তারই বহিঃপ্রকাশ। সরকার প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এসব শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করছে। অথচ সরকারের অভিযোগ ছিল আন্দোলনে জামাত-বিএনপির অনুপ্রবেশ। সরকারের চামচা সাংবাদিকরাও একে জামাত-বিএনপির অনুপ্রবেশ হিসেবে বর্ণনা করছে। দু:খের বিষয় যাদের গ্রেফতার করা হলো তারা কেউ জামাত বিএনপি নয়। কোনো মিডিয়া এখন পর্যন্ত কাউকে জামাত বিএনপির কর্মী কিংবা তাদের হয়ে কাজ করা শিক্ষার্থী হিসেবে নাম উচ্চারণ করেনি। এরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। আর এটাই তাদের দোষ।
বলা হচ্ছে গুজব ছড়ানোর জন্য এবং আন্দোলনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবার জন্য তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ বলা হচ্ছে না কে কোন ধরণের গুজব ও ভিডিও ছড়িয়েছে বলে গ্রেফতার হয়েছেন। সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে নিরীহ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করছে। এদিকে সরকারের পেটোয়া বাহিনী যারা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে পিটিয়েছে তাদেরকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি।
সরকার নিজেদের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুলিশকে ব্যবহার করছে। সরকারের এ ধরণের আচরণ বাংলাদেশের সংবিধান সম্মত নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে এই সরকার। অথচ এই সরকার দাবী করে তারাই এদেশে গণতন্ত্র এনেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ৯৭ জন শিক্ষার্থী গ্রেফতার করে সরকার নিজের সেই দাবীকে ভুয়া প্রমাণ করল। সরকার এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। যেখানেই চোখ দিচ্ছে সেখানেই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজে পাচ্ছে।
পুলিশের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে সরকার। পুলিশ দিয়ে সরকার শিক্ষার্থীদের একটি মোক্ষম শিক্ষা দিতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা কোনো আন্দোলনে না নামে।
এটা অনেক টা "ঝি কে মেরে বউকে শেখানো" তত্ত্বের মতো। এই সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর দমন নির্যাতন চালাচ্ছে। এই সরকার কখনই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার নয়। এটা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের পক্ষের সরকার।
No comments