পরিবহণ সেক্টরে সব হারামজাদা এক
বাংলাদেশে যারা বাম ধারার রাজনীতি করেন। তারা বহু নীতি কথা কপচান। তারা যা না, তা হয়ে অন্যের সমালোচনা করেন। অথচ সেই তারা পরিবহণ ধর্মঘটে নীরব। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাম রা ভালো কোনো কাজ না করলেও খারাপ কাজে তাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ। তার সঙ্গে এবার যোগ হলো অনৈতিক পরিবহণ ধর্মঘট। দেশবাসীকে জিম্মি করে তারা এই ধর্মঘট পালন করছে। আর তাদের এই ধর্মঘটে মদদ দিচ্ছে রাজনৈতিক সবকয়টি দল।
দেশের রাজনীতি খুনোখুনিতে বিভক্ত থাকলেও এই ক্ষেত্রে সব হারামজাদা এক। কি জগণ্য দেশে আমরা বাস করি। সেটা আবার প্রমাণিত হলো। দুদিনের এই পরিবহণ ধর্মঘটের পিছনে শ্রমিকদের দাবি, তাদেরকে হত্যার লাইসেন্স দাও। মানে খুন করে প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানোর অধিকার। কথাটা ঘুরিয়ে বললে যা হয় দুর্ঘটনার সব অপরাধ হবে জামিনযোগ্য। উদ্ভট এ দাবি পৃথিবীর কোনো শ্রমিক সংগঠন করেছে কি না আমার জানা নেই। তারা কালি নিয়ে রাস্তায় পিকেটিং করে। পুলিশ ধরে না। তাতে বোঝা যায় সরকারের সিগনাল আছে এসবের পিছনে। খুন, মাদক পাচার, নারী পাচার সবকিছুর সঙ্গে এই পরিবহণ সেক্টর জড়িত। কারণ এসব অপরাধ সংঘটনে পরিবহণ একটি মাধ্যম। চালক হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয় তাদের কেউ কেউ মাদকসেবী কিংবা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য কিংবা খুনি ডাকাত। কারণ মালিকের মুখের কথায় এরা গাড়ি চালানোর অধিকার পেয়ে থাকে। এদের প্রোফাইল চেক করা হয় না।
প্রতিবেশী দেশসহ ইউরোপ আমেরিকায় দুর্ঘটনার মাত্রা বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। গাড়ি নিয়ে কেউ পথচারীকে চাপা দিলে সেটা সন্ত্রাসী ঘটনা বিবেচনা করে বিচার হচ্ছে। অথচ এদেশের ওসমান আলীর মত শ্রমিক নেতারা বলেন মৃত্যুদণ্ডের বিধান নাকি কোনো দেশে নেই। তাদের কমরেডরা মনে হয় এই তথ্য তাকে সাপ্লাই দিয়েছে। ধিক্কার জানাই সেই জ্ঞানপাপী কমরেডদের। আজকের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত কাউয়া নেতারা বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের দাবি শুনলেই বলে উঠে, এটা কি মামা বাড়ির আব্দার? সেই কাউয়ারা, হারামি পরিবহণ নেতাদের দাবিতে চুপ মেরে বসে আছে। সব শয়তান এক।
প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার চাঁদা উঠানো হয় এই পরিবহণ থেকে। যার ভাগ পায় এই সেক্টরের নেতা মন্ত্রীরা। তাই সরকার এখানে ব্যর্থ। কিছু করতে পারবে না এদের বিরুদ্ধে। তাদের এই মনোপলি ভাঙতে না পারলে আগামীতে আরও সমস্যায় পড়বে দেশ। পরিবহণ খাত রাষ্ট্রীয় করা হোক। বেসরকারি বাস উঠিয়ে সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হোক। এতে বাস্তবায়ন করতে যত সময় লাগে লাগুক। জনগণ কষ্ট করুক। কারণ তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই নিরাপদ সড়ক আইন করা হয়েছে।
অপরাধী চক্রের হাত থেকে মুক্ত করতে এর বিকল্প নেই। তা না হলে দেশ বার বার এইসব হারামি পরিবহণ নেতার কবলে পড়বে। আর সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হবে।
No comments