"নবরাত্রি" কে "লাভরাত্রি" বলা যায় কি?
![]() |
বজরং দলের প্রতিবাদ। |
আগামী ৫ অক্টোবর তার "লাভরাত্রি" ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এদিকে ভারতের গণমাধ্যম এই ছবির প্রচার চালাতে, হিন্দুত্ববাদীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
এরই মাঝে এক হিন্দু লাভার আইনজীবী সালমান খানের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিহারের মুজাফফপুরে মামলা করেছে। অথচ ওই আইনজীবী একজন সেকুল্যার। কংগ্রেস দলের সমর্থক।
তিনি বিজেপি কিংবা আরএসএস সংশ্লিষ্ট কেউ নন। তার নাম সুধীর কুমার ওঝা।
বিহারের এই বাসিন্দার মনে যে এত হিন্দুপ্রীতি আছে সেটা কয়জন ভারতবাসী বিশ্বাস করবে? হয়ত রহুল গান্ধী শিব ভক্ত হয়ে পড়ায় তার মধ্যে হিন্দুত্ববাদের টান লেগেছে। সে যাই হোক, ভারতের প্রচার মাধ্যম সালমান খানের "লাভরাত্রিকে" শীর্ষে তুলে দিয়েছেন। খান কোম্পানির টাকায় চলা অধিকাংশ ভারতীয় মিডিয়ায় অন্য কারো প্রচার পাবে তা কীভাবে হয়?
সালমান খানের চেলা ওই আইনজীবী ওঝা বলছেন, অভিনেতার নির্মিত লাভরাত্রি সিনেমার ট্রেইলারে নাকি অশ্লীলতা আছে। এটার বলার পেছনে কৌশল, সবাইকে ছবির ট্রেলার দেখানো।
এই সেই আইনজীবী ফেসবুক থেকে |
আসলে ট্রেইলারে অশ্লীলতার কিছুই নেই। বরং এটি অন্য হিন্দি সিনেমার মত নিছক নারী পূরুষের প্রেম পিরিত মার্কা সিনেমা। ছবির ট্রেইলার দেখে এমনটা যে করো মনে হবে।
ভারতবাসীর হিন্দুত্ব সেন্টিমেন্ট আজব এক পর্যায়ে উন্নিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের যেখানে প্রতিবাদ দরকার, সেখানে তারা নীরব। আর যেখানে প্রতিবাদের কোনো দরকার নেই সেখানে তারা সরব।
আমির খান "পি কে" চলচ্চিত্রে হিন্দু দেব দেবী নিয়ে মশকরা তামাশা করল, সেখানে কেউ প্রতিবাদ জানালো না। উল্টো আমির খান ভারতের হিন্দুদের অসহিষুতার সিল মেরে দিল। আজ পর্যন্ত এ নিয়ে কেউ আমির খানের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ করেনি।
অন্যদিকে সালমান খান "নবরাত্রি" উৎসবরে নাম লাভরাত্রি করতে গিয়ে হিন্দুদের কোপানলে। এ কেমন রাগ হিন্দুদের?
ভারতের যেসব মিডিয়া নবরাত্রি উপলক্ষে খবর প্রচার করতে গিয়ে বলে এবার উৎসবে গতবারের চেয়ে কনডম বেশি বিক্রি হয়েছে তখন নবরাত্রির মানে টা কি দাড়ায়? সেটা কি ভেবে দেখেছে ভারতের তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীরা?
নবরাত্রিতে ছেলে মেয়ে খুল্লাম খুল্লাম মেলা মেশা করবে। ডান্ডিয়া নৃত্যের আড়ালে করবে যৌন নৃত্য। তখন সেটা আর উৎসব থাকে না। তখন সেটা আর দুর্গা বন্দনা থাকে না। তখন নবরাত্রি সেক্সরাত্রিতে পরিণত হয়।
সালমান খান ভদ্র মানুষ। তিনি একে ভদ্রভাষায় বলেছেন "লাভরাত্রি"। উৎসবের দর্শণ পরিবর্তন হয়ে গেলে লোকজন তার ভিন্ন অর্থ করবে এটাই স্বাভাবিক। উৎসবের দর্শণ ঠিক রেখে উৎসব করলে এসব আর দেখতে হতো না।
যারা এ বিষয় নিরপেক্ষ সেক্যুলার। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই। আজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমকাম বৈধ। যা ইসলামে চরমভাবে নিষিদ্ধ। এখন কেউ যদি ঈদের কোলাকুলিতে দুই বন্ধুর প্রেম হয়ে গেছে এই চিত্র সিনেমায় দেখানো হয়। আর নাম দেয়া হয় "গালে লাগাকে প্রেম"। তখন দেশটির মুসলমানরা কি বসে বসে আঙ্গুল চুসবে? তার মাথার দাম সঙ্গে সঙ্গে ধার্য হয়ে যাবে। শুরু হবে দাঙ্গা।
তেমনি সিনেমায় নবরাত্রিতে ডান্ডিয়া নাচের মধ্য মেয়ে পটানোর দৃশ্য দেখানো ভালো কোনো শিক্ষা নয়। ডান্ডিয়া উৎসব নিতান্ত ধর্মীয়। দেবি দুর্গাকে তুষ্ট করতে এই নাচ করে থাকেন গুজরাটের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। কনডম বিক্রি বাড়ানোর জন্য ডান্ডিয়া নৃত্য হয় না। মেয়ে পটানোর জন্য এসব আয়োজন হয় না। এটা বোঝা উচিত ভারতীয় মিডিয়াকে।
No comments