Header Ads

Header ADS

দেশভাগের কুশীলবদের করুন পরিণতি, কোথায় তারা




হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে উপমহাদেশকে ভাগ করে তখনকার দিনের ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদরা। অথচ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছিল গণভোটের।

আজ কাশ্মীর নিয়ে যে গণভোটের ডাক দেয়া হয় সেদিন কিন্তু  উপমহাদেশের পল্টিবাজ রাজনীতিবিদরা দেশভাগে গণভোটের ডাক দেয়নি। ব্রিটিশরা নিজেরা গণভোটে বিশ্বাসী হলেও সেদিন তারাও সেটি বেমালুম চেপে যায়। ভারতবাসীর ওপর সেদিন প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা। এ কারণে হিন্দু-মুসলমানের বিষয়গুলো তারা সামনে নিয়ে আসে।

 ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দু ও মুসলিমরা কীভাবে তাদের সহায় সম্পত্তি ব্যবসা রক্ষা করবে? তার ব্যবস্থা না করেই দেশ ভাগ করতে লেগে যায় উপমহাদেশের পল্টিবাজ অসৎ রাজনীতিবিদরা। যার খেসারত দেয় লক্ষাধিক হিন্দু, মুসলমান ও শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন।

 বলতে গেলে নর নারী ও শিশু বলির ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠা হয় ভারত ও পাকিস্তান এরপর বাংলাদেশ। আজ কত ইতিহাস গবেষক আছেন। তারা দালাল গবেষক। তাদের গবেষণায় কখনই এই সত্যটা বের হয় না। 

 সর্বশক্তিমানের বিচার নাই, কে বলেছে? দেশভাগের পর অসৎ পল্টিবাজ রাজনীতিবিদরা করুন মৃত্যুর শিকার হোন।

 কোথায় আজ জিন্নাহ পরিবার? নাই। কোথায় আজ নেহেরুর পরিবার? নাই। কোথায় আজ শেখ মুজিবের পরিবার? নাই। হয়ত অনেকে বলবেন কেন এদের পরিবারের কেউ না কেউ তো আছে। হ্যা আছে ঠিকই তবে, সেটা না থাকার মতই। 

মুহ মে বিড়ি হাত ম্যা পান, লাড়কে ল্যাঙ্গে পাকিস্তান। কলকাতার রাস্তায় মুসলিম লীগের যেই বীরেরা এই স্লোগান দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করেছিল ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনি। কুকুর বেড়ালের মত তাদের মৃত্যু হয়েছে। লেবাননে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয় তৎকালীন হোসেন সোরাওয়ার্দীকে। যার নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয় কলকাতায়।

ভারতে করম চাঁদ গান্ধি থেকে রাজীব গান্ধি। বাংলাদেশে শেখ মুজিব থেকে জিয়া, পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান থেকে শুরু করে জুলফিকার আলী ভূট্টো,  জিয়াউল হক এরপর বেনজির ভূট্টো ও তার ভাই। দেশভাগের সব কুশীলবরা নৃশংসতার শিকার হয়ে মারা যান।

এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কারো কারো ঘটনা এতটাই নৃশংস ছিল যে মৃত্যুর পর তাদের বডি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতে রাজীব গান্ধি বোমা বিস্ফোরণে। রাজীব গান্ধির মাথাই খুজে পাওয়া যায়নি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক মারা গেলে তার বডি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানের ওপর এমনভাবে ব্রাশফ্রায়ার করা হয় যে তার বডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আবার অনেকের পুরো পরিবারই শেষ। ভারতে ইন্দিরা পরিবারের কেউ নেই। বাংলাদেশে শেখ মুজিবের পুরো বংশই শেষ। পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভূট্টো পরিবারের সবাই শেষ। ভূট্টোর ছেলে ও মেয়ে উভয় হত্যার শিকার হোন। এসবই সেই বাপ দাদাদের পাপের পরিণাম।

আজ নেহেরুর পরিবার বলে কিছু নেই। কিংবা নেই কায়েদে আযম মহম্মদ আলী জিন্নাহর পরিবার। 

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.