Header Ads

Header ADS

ড. কামাল হোসেনের কূটনীতিই পারে খালেদাকে মুক্ত করতে


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংলাপ কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তবে সংলাপের প্রথম দিনে বেশ কয়েকটি দাবি সম্পর্কে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মধ্যে বিএনপিকে সভা সমাবেশ করতে দেয়া ও গায়েবি মামলা করে যাদের হয়রানি করা হচ্ছে তাদের তালিকা দেয়ার আশ্বাস। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আদালতকে ও নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে সংবিধানকে ঢাল বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এটা জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টসহ বিএনপিকে হতাশ করেছে। 

দেশবাসীও সরকারের এমন আচরণে হতাশ হয়েছে। এর কারণ, সবাই জানে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলে দেশের আদালতগুলো। যে কারণে খালেদা জিয়ার দণ্ডপ্রাপ্ত মামলাগুলোতে তিনি জামিন পেলেও তাকে অন্য মামলায় বন্দি দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। এসব মামলার বাদী রাষ্ট্র তথা সরকার। তাই এ ব্যাপারে সরকার আদালতকে অজুহাত হিসেবে দাড় করাতে পারে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতেই রয়েছে। আশা করি ড. কামাল হোসেন এই ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে রাজী করাতে পারবেন। 

 স্বৈরাচার এরশাদের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যুক্তিপূর্ণ নয়। এরশাদ পুরুষ ও সুস্থ হওয়ায় তিনি জেলে থেকে নির্বাচন করেছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়া একজন নারী ও অসুস্থ। তাকে জেলে রাখাটা অমানবিক। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শাসক আওয়ামী লীগকে অবশ্যই উদার হতে হবে। খালেদা জিয়াকে জেলে রাখার ফন্দি থেকে সরে আসতে হবে। পুরো বিষয়টি আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হতে পারে। যদি সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করে। 

সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিএনপির সঙ্গে ছোট পরিসরে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা ইতিবাচক দিক। আশা করা যায় ড. কামাল হোসেন বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত এই আলোচনা করবেন। তখন হয়তো খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্পর্কে একটা আইনি পথ বেরিয়ে আসবে। আর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও তখন আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া ব্যক চ্যানেলে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে এ নিয়ে শেখ হাসিনা আলোচনা করতে পারেন।

 তবে সংলাপ ব্যর্থ করার জন্য এরশাদ ও সরকারের বামপন্থী দলগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এর কারণ তারা অস্তিত্ব সংকটে আছে। বিএনপি নির্বাচনে গেলে সরকারের আশ্রিত বাম ও এরশাদরা মূল্যহীন হয়ে পড়বে। কারণ বিগত দশ বছরে এরাই লুটপাটকারী। সরকারের ভাবমূর্তি এরাই নষ্ট করেছে। তাই তারা কখনই চাইবে না ড. কামাল হোসেনর এই উদ্যোগ সফল হোক। তারা চাইবে ২০১৪ সালের মত আরেকটা ভোটার বিহীন নির্বাচন করে তারা নেতা মন্ত্রী থাকতে। পাশাপাশি পকেট ভারী করতে। তাই তাদের এজেন্টরা উঠে পড়ে লেগেছে। আর মিডিয়ায় বলে বেড়াচ্ছে সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে।


     

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.