Header Ads

Header ADS

খালেদা আজ পর্যন্ত কোনো মন্দিরে যাননি



বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত কোনো মন্দিরে যাননি। তিনি কোনো দুর্গা কিংবা কালী প্রতিমার সামনে দাঁড়াবেন না। পাকিস্তানের কাছে দেয়া কমিটমেন্ট অনুসারে তিনি এ কাজ করেছেন। আজ তার দলের লোকেরা নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়কে কাছে টানার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন তৈরির কথা, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরি করার কথা বলেন।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশনের আসন্ন নির্বাচন ও জননিরাপত্তা বিষয়ক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. হারুন-উর-রশিদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ড. মাহাবুব মাহাতাবসহ অন্যরা। 

সুভাষ সিংহ বলেন, বিএনপি মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর মিডিয়া এসব কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। বিএনপি বুদ্ধিজীবীরা মিডিয়া গিয়ে সঞ্চালককে আক্রমণ করে বলে আপনি তো আমাকে কথা বলতে দেবেন না। আর এই সুযোগ ২০-৩০ মিনিট আবোল তাবোল বকে যায়। কথা আর শেষ হয় না। 

বলা হচ্ছে, নাইকো দুর্নীতি মামলা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও করা হয়েছে আবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও করা হয়েছে। হাসিনার মামলা উড়ে গেছে আর খালেদা জিয়ার মামলা রয়ে গেছে। আর বাস্তব সত্য শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত নাইকোর সঙ্গে কোনো চুক্তিই করেনি। নাইকোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে খালেদা জিয়ার আমলে। ২০১১ সালে এই মামলা যখন উচ্চ আদালতে যায়। তখন শেখ হাসিনার নাম এক শুনানিতে কোয়াশ হয়ে যায়। অথচ খালেদা জিয়ার বুদ্ধিজীবীরা দুই আমলে চুক্তি হয়েছে অনবরত এ অসত্য বলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান ক্ষমতায় যাওয়ার পর সারাদেশে বহু লোক খুন হয়েছিল। এ নিয়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকার দেন। যার সমালোচনা নাকি তিনি পত্রিকায় করেছেন। 

সুভাষ সিংহ আরো বলেন, সেই সময় বিচারপতি বি বি রায় চৌধুরী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকা সত্ত্বেও তার পারিবারিক বাড়ির দুর্গা পূজার প্রতিমা ভেঙে দেয়া হয়েছিল। এরপর সারা দেশে হিন্দুরা ঘট পূজা করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সেই ঘটনা কেউ ভুলে যায়নি। 

তিনি বলেন, আজ যারা ঐক্যফ্রন্টের জোটে আছে তাদের কেউ কেউ কি না চক্রান্ত করছেন। জাফরুল্লা চৌধুরি তার গণস্বাস্থ্যের এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার নসিহত দেন। কি খারাপ এরা। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান যে নেতা  মিডিয়ায় একা সাক্ষাৎকার দেন। তিনি কখনও অন্যের বিপরীতে সাক্ষাৎকার দেননি। 

ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা নাগরিক টিভিতে বলেন, পাকিস্তানের অবস্থা বাংলাদেশের চাইতে ভালো। সঞ্চালক তাকে জিজ্বাসা করছে আপনি জেনে বুঝে বলছেন তো। তিনি জবাবে বলেন হ্যা। এবং এর পিছনে যুক্তি দেখান।  জোটের আরো কয়েক নেতা ইসিকে হুমকি দিয়ে এসেছে। তারা কি করতে পারে এসব থেকেই বোঝা যাচ্ছে।  
     

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.