Header Ads

Header ADS

বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাই বিএনপির ভরসা



বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন চলছে রূপ বদলের খেলা। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে নেতা নেত্রীদের রূপ বদল হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হবেন। কপাল ভালো জিল্লুর পুত্র পাপন এমন কোনো কাজ করেননি। আরেকটি চমৎকার নিউজ হচ্ছে সাবাস বাংলাদেশের রচিয়তার রুপ বদলে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে তিনি এখন গীতার শরণাপন্ন থুক্কু নৌকার শরণাপন্ন হয়েছেন। একেই বলে আদর্শ রাজনীতি।

 ১৯৯০ এ স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা। গণতন্ত্রে রাজাকার ভর করায় জাতি পেয়েছিল জঙ্গিবাদ ও রাজাকার মন্ত্রী। দেশের রাজনীতিতে জঙ্গিবাদ ও রাজাকারকে মন্ত্রী করায় অভিশাপ নেমে আসে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির ওপর। ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকে। আজ অস্তিত্ব সংকটে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায় জিয়াউর রহমানের এই দলটি যাত্রাই শুরু করেছিল পাকিপন্থি রাজনীতিবিদদের নিয়ে। 

শাহ আজিজ, আবদুল আলীম, সা কা চৌধুরী এরা ছিল কট্টর পাকিস্তান প্রেমী। প্রথমজন বাদে বাকী দুজন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড পান। আবদুল আলীম পঙ্গু থাকায় পান আমৃত্যু কারাদণ্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে তিনি রাজনৈতিক দল গড়লেন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি নিয়ে। এর ব্যাখ্যা তিনি আরেক মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকতকে দিয়েছিলেন। সেখানে ছিল জিয়ার অসহায়ত্বের কথা। আর এ কারণে এদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিএনপিকে পরাজিত শক্তির আধার হিসেবেই বিবেচনা করে। 

প্রেসিডেন্ট জিয়ার কাজটি ছিল খারাপ ও সুবিধাবাদী। তার ফলও পেলেন নিজের জীবন দিয়ে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও সেই পরাজিতদের নিয়েই রাজনীতি শুরু করলেন। এখন তিনি কারাগারে। আর পুত্র বিদেশে পলাতক, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দণ্ডিত অপরাধী।

বিএনপি যখন মরে মরে তখন দলটি আশ্রয় নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেই শক্তির কাছেই। জিয়া-খালেদা জিয়া গোলাম আযম-সাকাকে ডেকে যে পাপ করেছিল, তার প্রাশ্চিৎ করেছে ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, জাফরুল্লাদের শরণাপন্ন হয়ে। আর এতেই গাত্র দাহ শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীদের। 

বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে তারা হজম করতে পারছে না। তারা বিএনপিকে এক ভাষায় সমালোচনা করছে। অন্যদিকে ড. কামাল-রব-জাফরুউল্লাকে সমালোচনা করছে আরেক ভাষায়। বিএনপিকে সমালোচনা করতে লীগের নেতারা বলছে, দল ভাড়া দেয়ার লোক খুঁজছে তারা। আর ড. কামাল-রব-জাফরউল্লাহকে ষড়যন্ত্রকারী, রাজাকারদের সহায়তাকারী এসব বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। 

প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নামে বাংলাদেশে যে রাজনীতিটা শুরু করল, সেটা এক নতুন অধ্যায়। সংকটে পড়ে বিএনপি কোনো রাজাকারের সহায়তা চায়নি। চেয়েছে সেই তাদেরকে যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিতে বিশ্বাসী। সমাজতন্ত্রের কথা বলে। এমন একটি প্লাটফর্মে যে কেউ যেতে চাইবে। তাই আজ রেজা কিবরিয়ার মতো মানুষও ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন কেনে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি সেখানে যোগ দেয়। গণজাগরণ মঞ্চে এটাই চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে সরকার ও বিরোধী উভয়ই থাকবে মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। 

ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের বিএনপি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জিয়ার বিএনপি। ৭২ এর সংবিধান প্রণেতা, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারীরা যদি এদেশের না হয় তবে কারা এদেশের?

ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশে রাজনীতিতে একজন পরীক্ষিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক। তিনিই পারেন এদেশের রাজনীতিকে শুদ্ধ করতে। তবে তার শরীরের অবস্থা এতটাই খারাপ যে উনি শেষ জীবনে এই চাপ নিতে পারবেন কিনা সেটা পরম করুনাময়ই জানে। বাংলাদেশে আজ যে সংঘাতময় রাজনীতি। হত্যার রাজনীতি। তাতে লাগাম টানতে পারেন একমাত্র ড.কামাল হোসেনই। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনের মত দেশগুলো ড. কামাল হোসেনকে আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করে। 

আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জামাতি ও পাকি এজেন্ডাকে ড. কামাল হোসেনই রুখে দিতে পারেন। বাংলাদেশকে গড়তে পারে ড.কামাল হোসেনের মত বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাই। ড. কামাল হোসেনদের শত্রু তারাই যারা মুজিব কোট বাজার থেকে বানিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন । 

No comments

Theme images by wingmar. Powered by Blogger.