নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মনিটরিং সেল গঠন
সুমন দত্ত: যেকোনো নির্বাচনে বিশেষ একটি দলকে ভোট দেয়ার কারণে বাড়ি ঘরে হামলা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসীরা। এবার এমনটি আর ঘটছে না। সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেলের কাজ হবে ঘটনাস্থলে লোক প্রেরণ ও প্রশাসনকে বাধ্য করা দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করতে। এজন্য তারা একটি হেল্প লাইন চালু করেছে। নাম্বারটি হচ্ছে +৮৮০৯৬১২১০০৩০০। রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
এই নম্বরে ফোন দিয়ে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের সম্পর্কে অভিযোগ দিন। ঐক্য পরিষদ ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কোনো হামলা না হয় সেই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে র্যাব ও পুলিশ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এই সেল কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত।
তিনি আরো বলেন, আশা করি আগামীতে এই পরিবর্তন আরো উন্নতির দিকে যাবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা দেখে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ১৮ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মনোনয়ন দিয়েছে। তারপরই আছে বিএনপি, যারা ১২ জনকে দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৩ জন। এই চিত্র বিগত দিনগুলির চাইতে ভালো। সর্বশেষ কত জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চান নেতারা। রানা দাশ গুপ্ত বলেন, এক সময় এদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান শক্তিশালী ছিল। ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। বর্তমানে আমাদের প্রচারের জন্য সেই চিত্রের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকানিউজ২৪ডটকমের সাংবাদিক রানা দাশ গুপ্ত জিজ্ঞাসা করেন পৃথিবীর কোনো দেশ সংখ্যানুপাতিক সংসদ সদস্য নির্বাচন করে না। বাংলাদেশ কেন এমন দাবি বাস্তবায়ন করবে। উত্তরে রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রতিবেশী ভারতে দেখা গেছে সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা থেকে সব রাজনৈতিক দল তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়। এতে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে। বাংলাদেশে এমনটা করা হয় না। এজন্য আমাদের এই দাবি।
No comments